ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতি চূড়ান্ত করতে ইসরায়েল ‘প্রয়োজনীয় শর্তাবলীতে’ রাজি হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন।
প্রস্তাবিত চুক্তির সময় ‘আমরা যুদ্ধ শেষ করতে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করবো’, নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এমনটি জানালেও ‘প্রয়োজনীয় শর্তাবলীগুলো’ কী তা বিস্তারিত জানাননি; জানিয়েছে বিবিসি।
ট্রাম্প লিখেছেন, “কাতারি ও মিশরীয়রা এই চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রদান করবে। তারা শান্তি আনার জন্য সাহায্য করতে অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছে। আমি আশা করছি যে হামাস এই চুক্তি গ্রহণ করবে, কারণ এটা ভালো হবে না- এটা শুধু আরও খারাপই হবে।”
হামাস এই অস্ত্রবিরতির শর্তাবলী গ্রহণ করেছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প মঙ্গলবার হামাসকে গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হতে তার কথিত ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারী কর্মকর্তারা প্রস্তাবটি পাঠাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে ব্রাজিলের সাউ পাউলোতে সমাবেশ করে ফিলিস্তিনপন্থিরা। ছবি: রয়টার্স
আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একটি বৈঠকের কথা আছে। তার আগেই ট্রাম্প এ ঘোষণাটি দিলেন। ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ‘খুব দৃঢ়’ থাকবেন।
ট্রাম্প যোগ করেন, “তিনিও চান। আমি আপনাদের বলতে পারি, তিনিও চান। আমার ধারণা, আগামী সপ্তাহে আমরা একটি চুক্তি পাবো।”
ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মারসহ দেশটির কর্মকর্তাদের মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা।
গত সপ্তাহে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছিলেন, গাজায় একটি নতুন অস্ত্রবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির ব্যবস্থা করতে মধ্যস্থতাকারীরা তৎপরতা বাড়িয়েছে, কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা স্থবির হয়েই আছে।
ইসরায়েল বলছে, এই সংঘাত শুধু তখনই বন্ধ হবে যখন হামাস পুরোপুরি নির্মূল হবে। হামাস অনেকদিন ধরে স্থায়ী অস্ত্রবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এখনো প্রায় ৫০ জনের মতো জিম্মি গাজায় আছেন আর তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত আছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।